চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন : বর্ধমান হাওড়া শাখায় চলবে ৪২ টি ট্রেন

9th November 2020 9:38 am বর্ধমান
চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন : বর্ধমান হাওড়া শাখায় চলবে ৪২ টি ট্রেন


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : অবশেষে দীপাবলির আগেই চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন এর পরিষেবা । দীর্ঘ সাতমাসের ও বেশী সময় বন্ধ থাকার পর লোকাল ট্রেন চালু হবার খবরে খুশি সব মহল ই । করোনা আবহে বদলে গেছে দৈনন্দিন জীবনের চিত্র । গণ পরিবহণ ব‍্যবস্থা সচল না থাকার ফলে অর্থনৈতিক সমস‍্যা জটিল আকার ধারন করেছে । বাঁধ ভেঙেছে মানুষের ধৈর্যের । করোনায় মরতে হয় মরবো , তবু না খেতে পেয়ে মরবো না - বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বহু মানুষ । অবশেষে ধীরে ধীরে সচল হবার পথে লোকাল ট্রেন এর যাতায়াত । জারি করা হয়েছে একাধিক সতর্কতা । বর্ধমান হাওড়া কর্ড ও মেইন শাখায় আপাতত ৪২ টি লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে । মেইন শাখায় ২০ টি এবং কর্ড শাখায় ২২ টি বলে জানা গেছে । পাশাপাশি বর্ধমান কাটোয়া শাখায় ৮ টি ট্রেন যাতায়াত করবে । পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ট্রেন সংখ‍্যা বাড়ানো হবে । ইতিমধ‍্যেই রেল স্টেশন , ট্রেন কামরা সব জায়গাতেই বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে করোনা বিধি যাতে সকলে মেনে চলেন তার জন‍্য । স‍্যানিটাইজ যেমন করা হচ্ছে ট্রেন কামরা , প্লাটফর্ম তেমনি যাত্রীদের দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে । মাস্ক পড়া সকলের ক্ষেত্রেই বাধ‍্যতামূলক । প্লাটফর্ম ছাড়াও বাথরুম , টিকিট কাউন্টার , যাতায়াতের সিঁড়ি , এস্কেলেটর ব‍্যবহারের ক্ষেত্রে ও নজর থাকবে । স‍্যানিটাইজার ব‍্যবহার করা হচ্ছে সব জায়গাতেই । যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত রেল । এখন দেখার লোকাল ট্রেন চালু হবার পর যাত্রীরা কতটা সচেতন থেকে বিধি পালন করেন । যদিও আসানসোল ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কোন ঘোষনা না হবার ফলে ক্ষোভ বাড়ছে শিল্পাঞ্চল এলাকাজুড়ে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।